ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চুয়াডাঙ্গায় জ্বর-সর্দির প্রকোপ, বেড সংকটে মেঝেতে রোগী

চুয়াডাঙ্গায় জ্বর-সর্দির প্রকোপ, বেড সংকটে মেঝেতে রোগী

চুয়াডাঙ্গায় জ্বর-সর্দি-কাশি রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে ঘরে ঘরে। প্রতিদিনই জ্বর গায়ে নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন অসংখ্য মানুষ। এমন অবস্থায় পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে রোগীর চাপ এতটাই বেশি যে, হাসপাতালের মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডের মেঝেতে বসে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ ও ডেঙ্গুর থাবায় বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেছে। ফলে আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাশি রোগ। সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ রোগী আসছেন, যার বেশিরভাগই জ্বর-সর্দি-কাশি আক্রান্ত।

বেড সংকটের কারণে অনেককেই মেঝেতে অবস্থান করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঔষধ সরবরাহে কোনো সংকট নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, এই জ্বর সাধারণত সাতদিন স্থায়ী হয়। এরপরও শরীর দুর্বলতা ও ব্যথা থেকে রোগীরা আবার হাসপাতালে ফিরছেন। প্রতিদিন এত রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা। তারা জ্বর আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে থাকার এবং নিয়মিত ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিচ্ছেন।

রোগীর স্বজনেরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে শিশু নিয়ে এলে খালি সিট না পাওয়ায় অনেকেই মেঝেতে ভর্তি হচ্ছেন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। একদিকে জ্বর, অন্যদিকে ভিড়—চিকিৎসা নিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া হাসপাতালের চারপাশে ময়লা-আবর্জনা ও নোংরা পরিবেশে রোগীদের দুর্ভোগ বাড়ছে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘জ্বর যাচ্ছে না। গ্রামের ঔষধ খেয়ে কাজ হচ্ছে না। শেষে না পেরে হাসপাতালে আসতে হলো। এখন ডাক্তার দেখালাম, দেখা যাক শরীর সুস্থ হয় কি না।’ আরেক রোগী হাসনা বেগম জানান, ‘কয়দিন ধরে হঠাৎ করে শরীর দুর্বল হয়ে ব্যথা শুরু হয়। তারপর জ্বর। জ্বর মেপে দেখি ১০৪ ডিগ্রি। ডাক্তার বললেন, ভাইরাসজনিত জ্বর। তবে চিন্তার কিছু নেই। ঔষধ দিয়েছে, আশা করি সুস্থ হয়ে যাব।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘জ্বর সংক্রমণ খুবই বেশি হচ্ছে। আমরা রোগীদের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছি। প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহে কোনো সংকট নেই। মূলত ভাইরাসজনিত কারণে এই জ্বর হচ্ছে। প্রতিদিনই দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। ডাক্তার-নার্সরা হিমশিম খেলেও এই জ্বর মারাত্মক আকারে সংক্রমিত হচ্ছে না।’

মেঝেতে রোগী,বেড সংকট,চুয়াডাঙ্গায় জ্বর-সর্দি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত