ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লালমনিরহাটে জমির আইলে গাছ কালাইয়ের চাষ

লালমনিরহাটে জমির আইলে গাছ কালাইয়ের চাষ

লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় জমির আইল, গ্রামীণ মেঠোপথের ধারে, এমনকি জাতীয় মহাসড়কের পাশে আবারও বাড়ছে গাছ কালাইয়ের চাষ। এক সময় চাষ কমে গেলেও এখন কৃষকেরা এটিকে সাথী ফসল হিসেবে কচু, হলুদ ও আদার জমিতেও লাগাচ্ছেন।

মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের কৃষক হযরত আলী বলেন, অহরহ বীজ থেকে জন্মানো গাছ কালাইয়ের উচ্চতা জাতভেদে ১০ থেকে ১২ হাত পর্যন্ত হয়ে থাকে। এতে ৫০ থেকে ৬০টি শাখা-প্রশাখা হয়। ডালপালা জ্বালানী হিসেবে, পাতা ও ডগা জৈব সার তৈরিতে কাজে লাগে। পাশাপাশি জমির মাটি ক্ষয় রোধেও সহায়তা করে। শুকনো অবস্থায় এটি উৎকৃষ্ট মানের খড়ি হিসেবেও ব্যবহারযোগ্য।

কৃষক আব্দুর রহমান, আমিনুর ইসলাম ও কমল কান্তি বর্মন জানান, সহজ পদ্ধতিতে এই চাষ করা যায়। শুধু লাঙ্গল টেনে বা অল্প গভীর গর্তে বীজ ছিটালেই চারা গজায়। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ফুল আসে এবং অল্পদিনের মধ্যেই ফলন মেলে। দু’একবার কীটনাশক প্রয়োগ করলেই হয়, বাড়তি খরচ তেমন লাগে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলায়ই জমির আইল ও রাস্তার ধারে হলুদ, কচু ও কপির আবাদি জমির পাশে গাছ কালাই সবুজে ভরে উঠেছে। কৃষকরা বলেন, স্থানীয়ভাবে এটি ‘গাছ কালাই’ নামে পরিচিত। খিচুড়ি, সবজি বা শুকনো অবস্থায় ডাল হিসেবে খাওয়া হয়। এজন্য এটিকে গরীবের ডালও বলা হয়।

চিকিৎসকদের মতে, প্রোটিনসমৃদ্ধ এই ডাল শরীর গঠনে উপকারী। এর পাতার রস জন্ডিস নিরাময়ে কার্যকর। পাতা ও ডগা পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

লালমনিরহাটের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব জানান, কৃষকেরা জমির আইলে গাছ কালাই চাষ করলে তা একদিকে ফসলের সুরক্ষা দেয়, অন্যদিকে সবুজ সার হিসেবেও ভূমিকা রাখে। খাদ্য, জ্বালানী ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় এ ফসল কৃষকদের কাছে অত্যন্ত উপকারী হয়ে উঠেছে।

গাছ কালাইয়ের চাষ,জমির আইল,লালমনিরহাট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত