ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দাফনের ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার কিশোর!

দাফনের ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার কিশোর!

সিলেট থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর লাশ শনাক্ত করে দাফন করা হয়েছিল। তবে তার ১৭ দিন পর রবিউল ইসলাম (১৪) নামে সেই কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর থেকে জীবিত অবস্থায় রবিউল ইসলাম নাইমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া থানার পুলিশ।

শনিবার (২৩ আগস্ট) মৌলভীবাজার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পাঠানো হয়। ঠিক কি কারণে আত্মগোপনে ছিলেন, বিজ্ঞ আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানিয়েছেন তিনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে তার রেস্টুরেন্টের মালিকের সাথে মন-মালিন্যতার জন্য তিনি আত্মগোপনে থাকতে পারেন।

রবিউল ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকার গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে। সিলেটের গোয়ালাবাজারের ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেট এলাকার বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিলেন তিনি।

জানা যায়, গত ২৬ জুলাই রেস্টুরেন্ট থেকে তিনি নিখোঁজ হন। গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার লাশটি তাদের ছেলের বলে শনাক্ত করে এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ দাফন করা হয়। সে সময় রবিউলের পরিবার জানায়, বগুড়া রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া তাদের ছেলে রবিউলকে হত্যা করে কুলাউড়ায় লাশ ফেলে রেখেছে। পরে লাশ উদ্ধারের পর ওসমানীনগর ও কুলাউড়া থানায় মামলা করতে চাইলে প্রথমে দুটি থানাই গড়িমসি করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৬ আগস্ট লাশ নিয়ে রবিউলের মা ও স্বজনরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। কিন্তু অবশেষে লাশ দাফন করা হলেও শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং রবিউলকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলের নানার বাড়ি। রবিউল তার নানার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। শুক্রবার (২২ আগস্ট) তার পরিবারের লোকজনই তাকে খুঁজে পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রবিউলকে হেফাজতে নিয়ে শনিবার মৌলভীবাজার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পাঠানো হয়।

অন্যদিকে, গত ৩ আগস্ট কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে যে কিশোরের লাশ উদ্ধার রবিউল বলে শনাক্ত করে দাফন করা হয়েছে এখন পর্যন্ত ওই কিশোরের পরিবার বা অন্য কোনো পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হয়নি। তবে যদি কেউ ওই কিশোরের খোঁজ নিতে আসেন কিংবা দাবি করেন তাহলে পূর্বের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার লাশ ওই পরিবারের হেফাজতে দেয়া হবে।

কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, শুক্রবার হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের সৈয়দপুর থেকে রবিউলকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ হওয়া রবিউল আসলে আত্মগোপনে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, রেস্টুরেন্টের মালিকের সাথে মন-মালিন্যের কারণে এমন কাণ্ড ঘটায় সে।

দাফন,জীবিত উদ্ধার,কিশোর
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত