ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আরও ৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

আরও ৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর মোহনা থেকে আবারও একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ছয় বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। ট্রলারের মাঝি আব্দুল হাফেজ বলে জানা গেছে, তবে বাকি পাঁচজন জেলের নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সাগর থেকে মাছ শিকার শেষে টেকনাফে ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।

ট্রলার মালিক ও জেলেদের দাবি, গত চার দিনে মোট ৩৯ জন জেলে আরাকান আর্মির হাতে অপহৃত হয়েছেন। চলতি আগস্টের ৫ তারিখ থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ২১ দিনে সাতটি ট্রলার-নৌকাসহ ৪৬ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে তারা। অপহৃতদের কাউকেই এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ পরিস্থিতিতে জেলেরা নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, ট্রলারটির মালিক টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম। নৌযানে ছয়জন মাঝিমাল্লা ছিলেন। তিনি বলেন, ট্রলারের মাঝি আব্দুল হাফেজ মুঠোফোনে জানিয়েছেন, সাগরে মাছ শিকার শেষে টেকনাফে ফেরার পথে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় আগে থেকেই উৎপেতে থাকা আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর থেকেই জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, প্রতিদিনই আরাকান আর্মির সদস্যরা বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি ট্রলারসহ জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। ট্রলার মালিক সমিতির তথ্যমতে, গত চার দিনে পাঁচটি ট্রলারসহ ৩৯ জন জেলে ধরে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি মোট ২৫০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি ট্রলার-নৌকা ফেরত এসেছে।

আরাকান আর্মি,৬ জেলেকে ধরে
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত