
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুটি পরিবারের সাতজন নিহত ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুইজনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া। এ সময় তিনি নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহত প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে সর্বমোট ২ লাখ ৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ সহায়তা তুলে দেন ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিয়া।
এর আগে, শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি পূর্বপাড়ার হিরাঝিল এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
সহায়তা প্রদানকালে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এটা কোনো সহযোগিতা নয়, একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষের পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করা। বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার গাফিলতিতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা বের করা হবে। যারা দায়ী, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন শ্রমিক হাসান গাজী (৪০), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৩২), মেয়ে জান্নাত (৪) এবং এক মাস বয়সী শিশু ইমাম উদ্দিন। এ পরিবারের আরেক কন্যা মুন্তাহা (১০) বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাদের পরিবারের পক্ষে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন হাসানের ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম।
অন্য পরিবারে নিহত হয়েছেন গার্মেন্টসকর্মী আসমা বেগম (৩৫), তার মেয়ে তিশা (১৭) ও মা তাহেরা বেগম (৬০)। আসমার ছেলে আরাফাত (১৫), যিনি মাদ্রাসার ছাত্র, এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। এ পরিবারের পক্ষে সহায়তা গ্রহণ করেন আসমার স্বামী তানজিরুল ইসলাম।
সহায়তা গ্রহণ করে তানজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রিয়জনদের তো আর ফেরত পাওয়া যাবে না। তবে যেভাবে ডিসি স্যার সান্ত্বনা দিয়েছেন, তা দুঃখ কিছুটা হলেও লাঘব করেছে। তিনি সত্যিই একজন ভালো মানুষ।’ তিনি আরও জানান, ডিসি ব্যক্তিগতভাবে তার ছেলে আরাফাতের খোঁজ নিয়েছেন এবং সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বার্ন ইউনিটের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন।
একইভাবে নিহত হাসান গাজীর ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘অত্যন্ত ব্যস্ত সময়ের মাঝেও ডিসি স্যার আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ চাইলে তিনি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’