মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে একটি রয়েল এনফিল্ডসহ ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে, যা বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করা হয়েছিল।
মৌলভীবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী মো. মাহবুবুর রহমান বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জানান, গত ২১ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার শহরের গীর্জাপাড়া এলাকায় মাহবুব হাসানের ভাড়াবাসা থেকে একটি রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
চুরির পরপরই পুলিশ তদন্তে নামে। ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই জয়ন্ত সরকার, এসআই হিরন কুমার বিশ্বাস, এসআই উৎপল সাহাসহ একটি বিশেষ টিম গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তকালে প্রায় ৪৭টি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চক্রের মূলহোতা ও সহযোগীদের শনাক্ত করে পুলিশ।
এরপর ২৮ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার চান্দুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাপ্পী দাস ওরফে বাপ্পী সরকার সাগর (৩৫), পিতা অজিত দাস ছানা, আগরপুর পূর্বপাড়া, কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুইজন—তাফাজ্জল হোসেন ও বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় মো. বাবুল হোসেনের হেফাজত থেকে একটি চোরাই পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার পলতাকান্দা গ্রামের জাকির হোসেন পটলের ছেলে সোহানের বাড়ি থেকে মামলার চোরাই যাওয়া রয়েল এনফিল্ডসহ আরও তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একই এলাকা থেকে আরও একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত মোট ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তারকৃতরা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার পলতাকান্দা গ্রামের সোহানের কাছে বিক্রি করে আসছিল।
