
রংপুরের পীরগঞ্জ পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পৌরসভার প্রশাসক এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমাজ কল্যাণ পরিষদ এসকেপি ফাউন্ডেশন। প্রশাসকের দিকনির্দেশনায় ও ফাউন্ডেশনর কার্যক্রমে পৌরসভার আওতাধীন বিভিন্ন রাস্তা ও লোকালয় আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেকটাই পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ১৩টি গ্রাম নিয়ে পীরগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয়। এর ভৌগোলিক আয়তন ১১.৫০ বর্গকিলোমিটার। পৌরসভার আওতাভুক্ত ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। পৌরসভাটি সার্বক্ষণিক পরিচ্ছন্ন থাকবে — এমনটাই প্রত্যাশা পৌরবাসীর।
পীরগঞ্জ পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন রাখতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এসকেপি ফাউন্ডেশন ৩ বছরের একটি চুক্তির আওতায় দায়িত্ব গ্রহণ করে কাজ শুরু করেছে। ফাউন্ডেশনটি ইতোমধ্যেই পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রায় সব বাসাবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, হাট-বাজার এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ময়লার কন্টেনার সরবরাহ করেছে।
পৌরসভাকে ঝকঝকে ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে বাজারের আবর্জনা, হোটেল-রেস্তোরাঁ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা ময়লার ভাগার অপসারণে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছে এ ফাউন্ডেশন। ইতোমধ্যে পৌরসভার সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে বেশ কিছু বাস্তবমুখী পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে।
এসকেপি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী শেখ সাদী রহমান জানান, পৌরসভার নিয়ামতপুর এলাকায় একটি আধুনিক মানববর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের কাজ চলছে। বৃহৎ পরিসরে নির্মিতব্য এ শোধনাগারে বাসাবাড়ির ময়লা ও আবর্জনা সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করা হবে, যার মাধ্যমে উৎপাদিত হবে উন্নত মানের জৈব সার। শোধনাগারটি শুধু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নয়, এটি একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হবে। বর্তমানে প্রকল্পটির কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এসকেপি ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে পীরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সাইফুল আজাদ বলেন, এতদিন বাসাবাড়ি, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে ড্রেনসহ যত্রতত্র ফেলা হতো, যার ফলে পরিবেশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ত। বর্তমানে পৌরসভার সরবরাহকৃত কন্টেনারে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা রাখা হচ্ছে এবং নির্ধারিত সময়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা সেগুলো পিকআপ ও অটোভ্যানের মাধ্যমে সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে পরিবেশ যেমন সুন্দর থাকছে, তেমনি পৌরসভাও আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পীরগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক খাদিজা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি পৌরবাসীর সেবা প্রদানে। যতদিন পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে থাকব, ততদিন আপনাদের সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করে যাব।