
উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান তারেক এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা হলেন— জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সবির কুমার , সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ ও বিরল বড়ুয়া, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোতির্ময় চাকমা, উপসহকারী প্রকৌশলী রিগান চাকমা, ভুবনছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশিদ, ঠিকাদার চিং হেন রাহাইং, মিলন তালুকদার ও অমলেন্দু চাকমা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬–১৭ থেকে ২০১৯–২০ অর্থবছরের মধ্যে বরকল উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হলেও অধিকাংশ কাজ দৃশ্যমান হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাঙামাটি সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আহমেদ ফয়জুল হোসেন ২০২৩ সালের ৮ জুন পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় দুই বছর পর মামলার অগ্রগতিতে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুয়েল দেওয়ান বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য, সাবেক প্রকৌশলীসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এটি দুর্নীতির মামলার অগ্রগতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।