
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই বহু বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ভাঙ্গনে এখন হতাশাগ্রস্ত যমুনা পাড়ের অনেক পরিবার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। এতে চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যমুনার তীরবর্তী বেলকুচি, কাজিপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে চৌহালী উপজেলা শহর রক্ষা বেড়িবাঁধে ধস নেমে প্রায় ৫০ ফিট বাঁধ যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে। অবশ্য এ ভাঙন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে কাজ করছে।
এছাড়া শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাতনি চর, ধিতপুর, বারপাকিয়া, চরঠুটিয়া, নাটোয়ারপাড়া, তেকানি, নিশ্চিন্তপুর, কুড়াগাছা, ফেকশনপাড়া, চালাহারা, তেঘরি, উত্তর তেঘরি ও ভাটপিয়ারি চর, মেছড়া চর, গোটিয়ার চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙ্গনে ইতোমধ্যেই চরাঞ্চলের আখ পাটসহ বহু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, প্রতিবছরই চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন দেখা দেয়। এবার ভাঙ্গনে বসতবাড়ি, বহু ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি কমলেও এ ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, কয়েকদিন ধরে যমুনায় পানি কমছে। তবে চরাঞ্চলের অনেক স্থানে ভাঙ্গনের খবর জেনেছি। যমুনার তীরবর্তী চরাঞ্চলে প্রতিবছরই ভেঙ্গে থাকে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।