
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় নির্যাতনের শিকার স্ত্রী হনুফা আক্তার তার স্বামী আনাছ মিয়াকে অভিযুক্ত করে নেত্রকোনার দুর্গাপুর আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮শে ডিসেম্বর নেত্রকোনা সদর থানার মশুয়া গ্রামের মৃত আ. রহিমের ছেলের সাথে দুর্গাপুর থানার বালিচাঁন্দা গ্রামের সুজন মিয়ার মেয়ে হনুফা আক্তারের বিয়ে হয়। বিবাহের কিছুদিন পর আনাছ মিয়া যৌতুক হিসেবে একটি অটো রিক্সা চান স্ত্রী হনুফা আক্তারের কাছে। অটো রিক্সা কেনার জন্য আনাছ ৩ লক্ষ টাকা বাপের বাড়ি থেকে এনে দেওয়ার জন্য হনুফা আক্তারকে চাপ প্রয়োগ করেন।
হনুফা আক্তার অপারগতা প্রকাশ করলে তার উপর মানসিক ও অমানসিক নির্যাতন শুরু করে অভিযুক্ত আনাছ। হনুফা নির্যাতন সহ্য করে ঘর সংসার করতে থাকলেও এক পর্যায়ে আনাছ নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন এবং বলেন, টাকা না এনে ঘর সংসার হবে না। হনুফা আবারও অপারগতা প্রকাশ করলে আনাছ এক কাপড়ে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। হনুফা বাবার বাড়িতে এসে বিষয়টি সবাইকে জানান।
পরবর্তীতে সুজন মিয়া মেয়ের জামাই আনাছ মিয়াকে বাসায় এনে এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে জামাইকে অনুরোধ করেন, বিনা যৌতুকে তার মেয়ের সাথে ঘর সংসার করার জন্য। এ সময় হনুফা তার স্বামীর পা ধরে তাকে ঘর সংসার করার জন্য বলেন। এতে আনাছ রাগান্বিত হয়ে তাকে লাথি মারে এবং বলেন, দাবিকৃত টাকা না দিলে আর ঘর সংসার হবে না এবং যৌতুক নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করা হবে। হনুফা আক্তার এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন আদালতের কাছে।
অভিযুক্ত আনাছকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ‘আমি তাকে মারধর করি নি। অটো কেনার জন্য কিছু টাকা সহায়তা চেয়েছিলাম।’