ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পাবনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতীয় নাগরিক!

পাবনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতীয় নাগরিক!

পাবনা সদর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বও পালন করছেন বহাল তবিয়াতে।

অভিযুক্ত সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্র ও আধার কার্ড হিসেবে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দক্ষিণ ব্যারাকপুর শহরের দমদমের সূর্যসেন পল্লি ৪৬৭ এলাকার নির্মল কুমারের ছেলে। সুখরঞ্জন চক্রবর্তীর ভারতীয় পরিচয়পত্রের তালিকাভুক্তির নাম্বার ০০০০/০০৮০২/৭৬৩৯৭ এবং আধার কার্ডের নাম্বার ৪০৫০২২৩৪৩৩৫১। তবে পাবনা শহরের ২ ওয়ার্ডের পার্বতীগঞ্জ মহল্লার বাসিন্দাও তিনি।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলাদেশ সরকারের চাকরিবিধি উপেক্ষা করেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন। অথচ তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নাগরিক। সেখানে জমিজমা কিনেছেন, বাড়িও করেছেন। তার স্ত্রী ও বড় ছেলে ভারতেই থাকেন। ছোট ছেলে বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ভাতা পান। এজন্য তাকে নিয়ে পাবনাতে থাকেন। মাঝেমধ্যে ১৫ দিন/১ মাস ছুটি নিয়ে ছোট ছেলেসহ ভারতে যান। সুখ রঞ্জনের শ্বশুর দীপক কুমার রায়ের নামে সরকারি লিজ নেওয়া সম্পত্তি জালিয়াতি করে নিজের নামে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে সুখ রঞ্জন চক্রবর্তীর শ্যালক সুমন কুমার রায় বলেন, “আমার ভগ্নীপতি সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ওই দেশে তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও আধার কার্ড রয়েছে। আমার বাবা পাবনা শহরের পার্বতীগঞ্জ মহল্লার মুরগি পট্টিতে সরকারি জমি লিজ নিয়ে বসবাস করতেন। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মায়ের নামে ওই বাড়ি লিজ দেয়া হয়। মা মারা যাওয়ার পর কাউকে না জানিয়ে শুধুমাত্র আমার বোনকে একমাত্র উত্তরসুরি বানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছে সুখ রঞ্জন চক্রবর্তীর। এমনকি পৌরসভাতেও আমার একমাত্র বোনকে উত্তরসূরি বানিয়ে আবেদন জমা দিয়েছে। আমাদের বাড়িতে বসবাস করে এখন আমাকেই বাড়ি ছাড়া করতে চায় সে।”

পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল কবীর অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, কাগজপত্রও পেয়েছি। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবো।

তিনি আরো জানান, সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার একটি গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে চাকরী করছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক সুখ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা, এইসব কাগজপত্র বানানো যায়। আমার স্ত্রী-সন্তানরা ওর ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলা করে ভারতে চলে গেছে। তাদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমি আনার চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা আসেনি। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হলে আমি তা মোকাবেলা করবো। কারণ আমার সব ডকুমেন্টস আছে।

প্রধান শিক্ষক,ভারতীয় নাগরিক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত