ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

তাড়াইলে সবুজে ঘেরা আমনের বিস্তীর্ণ মাঠ, ব্যস্ত কৃষক

তাড়াইলে সবুজে ঘেরা আমনের বিস্তীর্ণ মাঠ, ব্যস্ত কৃষক

যতদূর দৃষ্টি যায়, চোখে পড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ। ফাঁকা নেই যেন ফসলের মাঠ। রোদ-বৃষ্টির খেলায় সবুজের আভা ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা যেন সবুজের সঙ্গে একাকার হয়ে আছে। গরম ও হালকা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে আমন ক্ষেত। তাড়াইল উপজেলার সর্বত্র এমন সবুজ ধানের ঢেউয়ের দৃশ্য চোখে পড়ছে।

সরকার ক্ষুধামুক্ত, খাদ্যে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কৃষি বিভাগের আন্তরিকতার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ও নিয়মিত তদারকিতে এ অঞ্চলের কৃষকরা রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হালচাষ, সেচ ও পরিচর্যা করছেন। এ ধানের ক্ষেতের মাঝেই কৃষকের আগামীর সোনালী স্বপ্ন লুকিয়ে রয়েছে।

তাড়াইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭,৭৭৫ হেক্টর জমি। হাইব্রিড ৫৩০ হেক্টর, উফশী ৭,২৪০ হেক্টর এবং স্থানীয় ৫ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৭,৭৩৩ হেক্টর জমি—হাইব্রিড ৫৩০ হেক্টর, উফশী ৭,২০০ হেক্টর, স্থানীয় ৩ হেক্টর।

গত বোরো মৌসুমে উন্নত প্রযুক্তির বীজ ও সেচ সুবিধা ভালো থাকায় ধান আবাদে ফলনও ভালো হয়েছিল। এতে আমনের মৌসুমে কৃষকদের উৎসাহ আরও বেড়ে গেছে। যথাযথ পরিচর্যার ফলে এখন মাঠের অবস্থা ভালো। রোগ-বালায় থেকে রক্ষা পেতে তারা কঞ্চি ও গাছের ডাল ব্যবহার করে পোকা দমনের চেষ্টা করছেন।

মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তালজাঙ্গা, রাউতি ও তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ আমন ক্ষেত সবুজে ঘেরা। কৃষকরা জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষক ছফর উদ্দীন বলেন, “এ মৌসুমে ৪ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। সময়মতো সার ও পরিচর্যা দেওয়ায় ধানের অবস্থা খুবই ভালো। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছি।”

অপর কৃষক মুহিবুল ইসলাম বলেন, “আমার ৬ বিঘা জমি আবাদে খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা। এখন জমি সবুজে ভরে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে ধানের শীষ আসবে। নিয়মিত পরিচর্যা করা হচ্ছে। আশা করছি, গত বছরের চেয়ে এবার ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারবো।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ রায় জানান, “বর্তমানে আমন ধানের ক্ষেত পাকতে শুরু করেছে। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। সার্বিক পরামর্শের মাধ্যমে ফলন ভালো করতে কৃষকদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করা যায়।”

ব্যস্ত কৃষক,আমনের বিস্তীর্ণ মাঠ,তাড়াইলে সবুজে ঘেরা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত