
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে আনোয়ার ফকির হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ইসলাম উদ্দিন মেম্বারকে যাবজ্জীবন আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
নিহত আনোয়ার ফকির জেলার তাড়াইল উপজেলার উত্তর ধলা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান ফকিরের ছেলে।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ইসলাম উদ্দিন মেম্বার একই উপজেলার তেউরিয়া গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে।
কিশোরগঞ্জ জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি ইসলাম উদ্দিন মেম্বার নিহত আনোয়ার ফকিরের মামাতো ভাই নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার বালালী গ্রামের মুকসুদ আলীর ছেলে আপেল মাহমুদকে (২২) নৌবাহিনীর নাবিক পদে চাকরির দেওয়ার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা নেন। পরে চাকরি না হওয়ায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেন ইসলাম উদ্দিন মেম্বার। ২০১৮ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারী বিকেলে তেউরিয়া বাজার মোড়ের মা মেডিক্যাল হলের সামনে বাকী টাকা চাইতে গেলে আনোয়ার ফকিরকে বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ইসলাম উদ্দিন মেম্বার। স্থানীয়রা আনোয়ার ফকিরকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরের দিন নিহতের ছোট ভাই আখলাকুল ফকির বাদি হয়ে ইসলাম উদ্দিন মেম্বারকে একমাত্র আসামি করে তাড়াইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে ঐ বছরের ৫ ডিসেম্বর পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ তদন্ত শেষে একমাত্র আসামি ইসলাম উদ্দিন মেম্বারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।