
১৭ বছরের টগবগে তরুণ আশিকের দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। অতি দরিদ্র ঘরের এই তরুণকে বাঁচাতে গ্রামবাসীর পক্ষে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদা ইউনিয়নের জহুরুলনগর গ্রামের অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান আশিক এখন মৃত্যু পথযাত্রী।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করা ছাড়া আশিকের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই পারেন কোনো অলৌকিক উপায়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে।
আশিকের পিতা দিনমজুর লালটু রহমান বলেন, “আমার ছেলে আশিকের বয়স মাত্র ১৭ বছর। তার এই অল্প বয়সে দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি দরিদ্র মানুষ, অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালাই। ধারদেনা করে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪–৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। বর্তমানে তার ডায়ালাইসিস বাবদ প্রতি মাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আমার পক্ষে আর এই খরচ চালানো সম্ভব নয়। তাই আমি এলাকাবাসীর কাছে আমার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য মানবিক সহায়তা চাই।”
তিনি আরও জানান, নাগদা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান, যুবদল নেতা হাসানুজ্জামান হাসান, রাসেল ও সিয়াম তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার বেশি। অসহায় লালটু রহমান বলেছেন, “আমি কীভাবে এত টাকা জোগাড় করব? তাই দল-মত নির্বিশেষে সমাজের বিত্তবান মানুষদের কাছে আমার অনুরোধ—দয়া করে আমার ছেলেটার জীবন বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।”