
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় এক বৃদ্ধাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বড় ছেলে, ছেলের বৌ ও নাতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— নিহত লক্ষ্মী রাজবংশীর বড় ছেলে রঞ্জিত রাজবংশী, পুত্রবধু পার্বতী রানী রাজবংশী ও নাতি পিয়াস রাজবংশী।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব বটতলা এলাকা বাড়ির সামনের ডোবা থেকে ওই বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে সাটুরিয়া থানা পুলিশ। তারপর ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
হত্যা মামলার বাদী নিহতের ছোট ছেলে ঝন্টু রাজবংশী বলেন, রোববার রাত ১টার দিকে মায়ের ঘরে গিয়ে তাকে না পাইনি। সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পাওয়া যায়নি। সকালে দেখি বাড়ির সামনের ডোবায় মায়ের লাশ ভেসে আছে। আমার মা প্যারালাইজড ছিল। ওই ডোবায় গেল কিভাবে? আমার মাকে ওরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই।
এলাকার বাসিন্দা লিমন কাজী বলেন, লক্ষ্মী রাজবংশী পাঁচ বছর ধরে প্যারালাইজড অবস্থায় ছিলেন। তার হেঁটে যাওয়ার সক্ষমতা ছিল না। তাই তিনি নিজে কিভাবে ডোবার কাছে গেলেন, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
নিহতের বড় মেয়ে কামনা রাজবংশী জানান, আমার মা দুই বছর আমার সঙ্গে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ছিল। আমার তিন ভাইয়ের কেউ মায়ের ভরণ পোষণ করত না, তাই আমি মাকে নিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু আট দিন আগে বড় ভাই রঞ্জিত এসে মাকে নিয়ে যায়। আমার মা তো এমনিই মরা তবু ওরা আমার মাকে মেরে ফেললো। আমি এর বিচার চাই।
সাটুরিয়া থানার ওসি মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, গত ২২ অক্টোবর বুধবার নিহতের ছোট ছেলে ঝন্টু রাজবংশী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারপরই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।