ঢাকা রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে নাগরিক অধিকার রক্ষা আন্দোলনে মানববন্ধন

ঈশ্বরদীতে নাগরিক অধিকার রক্ষা আন্দোলনে মানববন্ধন

ঈশ্বরদী নাগরিক অধিকার রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট, দালাল চক্র, দুর্নীতি, লুটপাটসহ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যমান সকল অরাজকতা অবিলম্বে বন্ধ, হাসপাতালে সেবার মান বৃদ্ধি, পেশাজীবি সকলের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ঈশ্বরদীবাসীর প্রাণের দাবি ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণে যৌক্তিক দাবিতে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ঈশ্বরদীর বিশিষ্ট কলামিস্ট সরোয়ারুজ্জামান মনা বিশ্বাস, ঈশ্বরদী নাগরিক অধিকার রক্ষা আন্দোলন ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার মুখপাত্র ইসমাদ দোহা, সমন্বয়ক সুলতান মাহমুদ খান, সমন্বয়ক আহসান হাবিব, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি খালেব বিন পার্থিবসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঈশ্বরদী নাগরিক অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাজ্জাদ হোসাইন সুজাদ।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলী এহসান বলেন, অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র বন্ধ হোক এটা আমরাও চাই। অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট বন্ধের জন্য গত মঙ্গলবার একজন অ্যাম্বুলেন্স চালককে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৭ দিনের জেল দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা রোগীদের জিম্মি করে গত তিনদিন ধর্মঘট পালন করেছে। আজকে রবিবার এসে দেখছি ওরা আবার হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে।

হাসপাতালে পুরুষ দালালের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মহিলা দালাল রয়েছে, এটা স্বীকার করে তিনি বলেন, এসব দালালদের ইতিমধ্যেই সনাক্ত করা হয়েছে। হাসপাতাল এলাকায় দালালমুক্ত রাখার জন্য আমি ইতিমধ্যেই সহকারী কমিশনার ভূমি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করেছি। আশা করছি অতি দ্রুত হাসপাতাল দালালমুক্ত হবে।

হাসপাতালে সেবার মান বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে রোগীর সংখ্যা অত্যাধিক। আজকে রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীসহ ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৫ জন।

এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১৬ জন, ডেঙ্গু রোগী ৪ জন রয়েছেন। রোগীর সংখ্যা অনুপাতে হাসপাতালে জনবলের সংকট রয়েছে।

ক্লিনারের ৫ পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ২ জন, ৪ জনের মিডওয়াইফের আছে মাত্র ২ জন, কনসার্টেন্ট আছে ১ জন, মেডিকেল অফিসারের ১৪ পদের বিপরীতে আছে মাত্র ৬ জন, আবাসিক মেডিকেল অফিসারের (আর এম ও) পদ শূন্য। অফিস স্টাফদের মধ্যে ক্যাশিয়ার নেই, অফিস সহকারী ৩ টি পদের একজনও নেই।

এখানে আঘাতপ্রাপ্ত ও সাপে কাটা রোগী আসে অনেক। সাপে কাটা রোগীদের জন্য বর্তমানে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। হাসপাতালে সেবার মান বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

মানববন্ধন,নাগরিক অধিকার,ঈশ্বরদী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত