
পাবনার ঈশ্বরদীতে চলতি মৌসুমে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে রবি মৌসুমে ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে উপজেলার ৬ হাজার ২৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পাচ্ছেন বিনামূল্যে সার-বীজ সহায়তা।
সোমবার বিকেলে ২০২৫-২৬ রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে গম, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, পেঁয়াজ, মসুর, খেসারী ও অড়হড়ের বীজ ও সার বিতরণ উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে ঈশ্বরদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল মমিন।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা খাতুনসহ উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে রবি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের কৃষি প্রণোদনার কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ফসলের জন্য মোট ৬ হাজার ২৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ২৮ মেট্রিক টন বীজ, ৬২ দশমিক ৩ মেট্রিক টন ডিএপি ও ৫৭ দশমিক ৮ মেট্রিক টন এমওপি সার দেওয়া হচ্ছে।
ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় বিভিন্ন ফসলের জন্য ৩৬৫ জন, সাঁড়া ইউনিয়নে ৭২৫ জন, পাকশী ইউনিয়নে ৪৪০ জন, মুলাডুলি ইউনিয়নে ১,৪১৫ জন, দাশুরিয়া ইউনিয়নে ১,০৩০ জন, ছলিমপুর ইউনিয়নে ৫৫৫ জন, সাহাপুর ইউনিয়নে ৫৭৫ জন ও লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে ১,১৩৫ জন কৃষক প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বিভিন্ন ফসলের জন্য বীজ ও সার পাচ্ছেন।
উপজেলায় ২,০০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের প্রতিজনকে ২০ কেজি গম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার; ৩,১০০ জন কৃষককে ১ কেজি সরিষার বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার; ২০০ জন কৃষককে শীতকালীন পেঁয়াজের ১ কেজি বীজ ও প্রত্যেকে ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার; ৬০০ জন কৃষকের প্রত্যেককে ৫ কেজি মসুর বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ৫ কেজি এমওপি সার; ২০ জন কৃষকের মধ্যে ১ কেজি করে সূর্যমুখী বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার; ১৫০ জন কৃষকের মধ্যে ১০ কেজি চিনাবাদাম বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার; ১৫০ জনের মধ্যে প্রত্যেকে ৮ কেজি খেসারির বীজ ও ১০ কেজি ডিএপি এবং ৫ কেজি এমওপি সার এবং ২০ জন কৃষকের মধ্যে ২ কেজি অড়হড় বীজ, ৫ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে।
এদিকে, দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলাজুড়ে প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণ কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হবে বলে জানান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। সরকারের এই উদ্যোগে খুশি প্রণোদনার বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রাপ্ত উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল মমিন জানান, কৃষকরা প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার সহায়তা পাচ্ছেন। এতে তাদের খরচের একটা অংশ কমে যাচ্ছে। ফসলের আবাদ ও উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।