কক্সবাজারের চকরিয়ায় যৌথ বাহিনীর ওপর ইটভাটা শ্রমিক ও জনতা হামলা চালিয়েছে। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে বিজিবির গাড়িসহ ৬টি গাড়ি। এ ঘটনায় পুলিশ ও বিজিবির সাত সদস্য আহত হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার।
তিনি জানান, পার্বত্য বান্দরবানের লামার ফাইতং পাগলীর আগা এলাকায় ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনায় যাওয়ার পথে যৌথবাহিনীর সাথে ইটভাটা শ্রমিক ও স্থানীয় জনতার মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সংবাদ পেয়ে ইটভাটার শ্রমিকেরা পাহাড়তলী এলাকায় অবস্থান নেন সকাল ৮টা থেকে। দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত টিমের গাড়ি বহর পাহাড়তলী এলাকায় পৌঁছলে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশ, বিজিবির ৭ সদস্য আহত হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবির গাড়িসহ মোট ৬টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
এ নিয়ে গত ৪ দিন ইটভাটায় অভিযানকালে বাঁধার মুখে পড়ে প্রশাসন। শ্রমিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে তাদের অংশে আটজন নারী শিশুসহ মোট ৫০ জনের অধিক লোকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জনের অধিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শ্রমিকদের সাথে আন্দোলনে যোগ দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টায় কাকারা ইউনিয়ন ছাত্রদল সদস্য সচিব জমির উদ্দিন (২৪) ও সদস্য আরফাত হোসেন (২০) নামে দুই ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার করা হয়।
বেলা ৩টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের অভিযান স্থগিত করে চলে যায়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হতে পরিচালিত স্পেশাল অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজুয়ান উল ইসলাম। এ সময় আলীকদম সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর হাফিজ, সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট (লামা) রুবায়েত আহমেদ, লামা থানা পুলিশ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তর অংশ নেয়।
লামার উপজেলার সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত আহমেদ বলেন, ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে। অনেকে আহত হয়েছে।
লামা থানার ওসি তোফাজ্জল হোসেন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ায় সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী টিমের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। এ পর্যন্ত আটজনকে আটক করে চকরিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
