
মুন্সীগঞ্জ শহরের পিটিআই ইনস্টিটিউশনের পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
শনিবার দুপুরে ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয় ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ শহরের পিটিআই ইনস্টিটিউশনের পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে— এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগের পরপরই অভিযুক্ত শিক্ষক রোমান মিয়াকে ধরে গণপিটুনি দেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশি হস্তক্ষেপের সময়ও উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষুব্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। পরে ক্যাম্পাস এলাকায় কিছুসময়ের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
পরে প্রতিষ্ঠানটির সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয় ঘিরে কয়েক ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর শিক্ষক রোমান মিয়া ওই ছাত্রীকে বাথরুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বাড়ি ফিরে শিশুটি মাকে সব জানায়। সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার স্কুল খুলতেই অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন ফুঁসে ওঠে। পরিস্থিতি শান্ত করতে মাইকিং করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ঘটনা সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুন্সীগঞ্জ) মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, “অভিযুক্ত রোমান মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে।”
অভিভাবক ও স্থানীয়দের দাবি— অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।