ঢাকা রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে উত্তরবঙ্গ মৌ-চাষী সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ঈশ্বরদীতে উত্তরবঙ্গ মৌ-চাষী সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

পাবনার ঈশ্বরদীর অভিজাত আরআরপি কমিউনিটি সেন্টারে উত্তরবঙ্গ মৌ-চাষী সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে ১৬ জেলার মৌচাষীরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ডক্টর কবির উদ্দিন আহমেদ।

কীটতত্ত্ব বিভাগ, শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা–এর মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. আতাউর রহমান, পরিচালক (গবেষণা) বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট ঈশ্বরদী পাবনা; ড. মো. আতিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগ, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিনাজপুর; জগদীশ চন্দ্র সাহা, সাবেক মহাব্যবস্থাপক ও প্রাক্তন প্রকল্প পরিচালক (মৌমাছি পালন প্রকল্প) ঢাকা; এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন (পিএইচডি), অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়া।

এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন উত্তরবঙ্গ মৌ-চাষী সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক শিশির কুমার সাহা এবং ঘরের বাজার হানিরাজ কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন। কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ জয়নাল আবেদীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মৌচাষী মো. ওয়াজেদ আলী চৌধুরী।

বক্তারা বলেন, মৌ চাষ একটি লাভজনক পেশা এবং দেশে মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিটি খাঁচায় একটি করে রানী মৌমাছি থাকে। মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে খাঁচায় জমা করে এবং মৌচাষীরা তা সংরক্ষণ করেন। মধু একটি প্রাকৃতিক ও পুষ্টিকর খাবার, যা বাজারে চার থেকে পাঁচশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তারা জানান, সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌমাছির খামার থাকলে পরাগায়নের কারণে ফলন তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পায়। এতে কৃষকরা বেশি সরিষা চাষে উৎসাহিত হন। দেশে ভোজ্য তেলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় সরিষার তেল উৎপাদন বাড়লে অন্যান্য তেলের চাহিদা কিছুটা কমে আসে। এ সময় বক্তারা আধুনিকভাবে কৃত্রিম মৌরানী তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মৌচাষীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই সংগঠনকে টিকিয়ে রেখেছেন। দেশে এখনো মৌ চাষের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হয়নি। আশির দশক থেকে যা শেখা হয়েছে, বর্তমান সময়ে চাষীদের আরও উন্নত দক্ষতা অর্জন করা জরুরি। উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত নীতিমালা সম্পর্কে চাষীদের জানতে হবে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে এই সম্মেলন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

তারা আরও বলেন, মৌস্বাস্থ্য রক্ষা ও গুণগত মানের মধু উৎপাদনের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন নতুন মৌচাষী তৈরি করতে হবে। দেশে যত বেশি মৌচাষী গড়ে উঠবে, তত বেশি মধু উৎপাদন সম্ভব হবে। দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করাও সম্ভব।

মৌ-চাষী সমিতির সম্মেলন,ঈশ্বরদীতে উত্তরবঙ্গ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত