কক্সবাজার শহরে বিউটি পার্লার থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়কের ঝিমি’স মেকওভার এন্ড বিউটি সেলুন নামের একটি বিউটি পার্লারের ভেতর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান, কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান।
মৃত তরুণী নাদিয়া ইসলাম ঝিমি (২৫) কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার জাফর আলমের মেয়ে। তিনি শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকায় ঝিমি মেকওভার সহ দুই বিউটি পার্লার প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নাদিয়ার স্বামী মোহাম্মদ ইয়াসিনের বাড়ি শহরের টেকপাড়া এলাকার কামাল ম্যানশনে। গত প্রায় বছরখানেক আগে স্বামী গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করার খবর জানতে পারেন তিনি। পরে অভিমান করে নাদিয়া বাপের বাড়ি চলে আসেন।
নাদিয়ার বাবা জাফর আলম বলেন, রোববার বিকেল ৩টার দিকে নাদিয়া ইসলাম ঝিমি নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজের কথা জানিয়ে বাবার বাড়ি থেকে বের হন। তিনি প্রতিদিন রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরলেও রোববার ফেরেননি। মাঝেমধ্যে কাজের চাপ থাকলে রাতে বাসায় ফিরতেন না তিনি। রোববার রাত ১১টার দিকেও বাসার লোকজনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল। ওইসময় কাজ থাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবস্থান করছিলেন বলেও জানান।
কাজের চাপে নাদিয়া রাতে বাসায় ফিরতে পারেনি বলে পরিবারের সদস্যদের ধারণার কথা জানান তিনি।
জাফর আলম জানান, সোমবার সকালেও নাদিয়া বাসায় না ফেরায় বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যরা একাধিক মোবাইল ফোনে কল দিয়ে কথা বলার চেষ্টা চালায়। কিন্তু কোনো ধরনের সাড়া না পাওয়ায় খোঁজ নিতে মেয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। এসময় ভেতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় নানাভাবে ডাকাডাকি করেন। এতে মেয়ের কোনো ধরনের সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দেন। এসময় নাদিয়াকে সিলিংয়ের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করা হয়।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও ঘটনার তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সহ রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে।
বিকেলে মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি ইলিয়াছ খান।
