ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অপহরণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে টেকনাফবাসী

অপহরণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে টেকনাফবাসী

কোস্ট ফাউন্ডেশন আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নে “অপহরণ প্রতিরোধে করনীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভা” আয়োজন করে। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা ও সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সভার আয়োজন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার ৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও হুইপ শাহজাহান চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া ও টেকনাফ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রকিবুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলাম।

আরও উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ থানার অফিসার ইন চার্জ সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আবু মুসা মোহাম্মদ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক দূর্জয় বডুয়া, টেকনাফ উপজেলা জামায়াতের আমির মো. রফিকুল্লাহ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন।

এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিনিধি, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি, সমাজকর্মী ও সিভিল সোসাইটি সদস্যরাও সভায় অংশগ্রহণ করেন।

শাহজাহান চৌধুরী বলেন, বর্তমানে যে ডাকাতির ঘটনা বাড়ছে, তার জন্য আমরা নিজেরাই আংশিকভাবে দায়ী। কারণ আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করতে চাই না এবং আমাদের মানসিকতা নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে।

মো. রকিবুল হাসান বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকা, পাহাড়ি বনাঞ্চল ও দূরবর্তী গ্রামগুলো অপহরণের উচ্চঝুঁকির এলাকায় পরিণত হয়েছে। তিনি স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন এবং অপহরণ প্রতিরোধে তাৎক্ষণিকভাবে থানায় বা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ঘটনা সম্পর্কিত প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে এবং তথ্য ফাঁস না করা জরুরি।

শাহাদাত হোসেন বলেন, অপহরণের পেছনে যারা মূল কারিগর, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

আমজাদ হোসেন বলেন, তিনি এবং তার ইউনিয়ন পরিষদ নিয়মিতভাবে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের পাশের দোকানগুলো বন্ধ করা এবং অপরাধচক্রে জড়িত পরিবারের সদস্যদের সামাজিকভাবে চিহ্নিত করে নজরদারির আওতায় আনা জরুরি।

সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি সদ্য টেকনাফ থানায় যোগদান করেছেন। তিনি জানান, সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এলাকার নিরাপত্তায় কাজ করবে এবং শিগগিরই স্থানীয়ভাবে কমিটি গঠন করা হবে। তিনি আশ্বাস দেন, স্থানীয়রা জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আবু মুসা মোহাম্মদ বলেন, এলাকার সন্তান হিসেবে তিনি মনে করেন, কমিউনিটির সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে এই অপরাধ অনেকাংশে কমানো সম্ভব। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনগণের যৌথ উদ্যোগ ছাড়া সফলতা অর্জন সম্ভব নয়।

মো. রফিকুল্লাহ বলেন, এটি শুধু আইন-শৃঙ্খলার নয়, বৃহত্তর সামাজিক সমস্যা। তাই রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে পরিবার, সমাজ, মসজিদ ও গণমাধ্যমসহ সবাইকে একসঙ্গে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে।

টেকনাফবাসী,জিরো টলারেন্স,অপহরণের বিরুদ্ধে
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত