ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের উঠান বৈঠক

ঈশ্বরদীতে পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের উঠান বৈঠক

পাবনার ঈশ্বরদীতে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় পারিবারিক পুষ্টি বাগানের গুরুত্ব বিষয়ক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে ঈশ্বরদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলার আড়মবাড়িয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রকল্প কার্যক্রম পরিদর্শন ও কৃষক-কৃষাণিদের সাথে মতবিনিময় করেন ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল মোমিন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন কৃষক ও সাংবাদিক আলমাস আলী, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মোজাম্মেল হক।

প্রধান অতিথি কৃষিবিদ আব্দুল মোমেন বলেন, বাড়ির আঙিনায় ও পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হলে একদিকে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মিটবে, অন্যদিকে বিষমুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন সম্ভব হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সঠিক পরিচর্যা ও জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসলকে রোগমুক্ত রাখা সম্ভব।”

এই প্রকল্পের আওতায় গ্রামের মানুষ বসতবাড়ির আঙিনায় অনাবাদি জমিতে শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করবেন। এতে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। একজন কৃষক সারা বছরই খামার থেকে কিছু না কিছু পাবেনই। কৃষকদের আরো উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

আব্দুল মোমেন আরো বলেন, এই প্রকল্প হতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে বসতবাড়ির আঙিনা বা নিকটস্থ পতিত জমি ব্যবহার করে শাকসবজি উৎপাদনের মাধ্যমে স্বল্প খরচ ও শ্রমে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় সম্ভব হবে।

সভাপতির বক্তব্যে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আলীম বৈঠকে উপস্থিত কৃষক-কৃষাণিদের বিভিন্ন সবজির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। যেমন- পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে, আর গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ থাকায় এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।

বৈঠকে উপস্থিত স্থানীয় কৃষক-কৃষাণিরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক সভা আরও বেশি হলে তারা পারিবারিক পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আগ্রহী হবেন।

উঠান বৈঠক শেষে পুষ্টি পরিবারের মাঝে পুষ্টি প্লেট ও পুষ্টি কার্ড এবং সবজির বীজ ও ফলজ চারা বিতরণ করেন।

ঈশ্বরদী,পুষ্টি বাগান,প্রকল্প,উঠান বৈঠক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত