রংপুরে শুরু হওয়া বিভাগীয় ইজতেমা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। রংপুরে এবারেই প্রথমবারের মতো লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতিতে তাবলিগ জামাতের বিভাগীয় ইজতেমা শুরু হয়েছিলো।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে তাবলিগ জামাতের তিন দিনব্যাপী বিভাগীয় ইজতেমা মাওলানা আব্দুল কাদের’র আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। যা শনিবার তিনদিনব্যাপী বিভাগীয় ইজতেমা শেষে দুপুরে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় ইন্ডিয়া থেকে আগত মেহমান নেজামুদ্দিন মার্কাজের মাওলানা সাহেব আখেরী দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন।
রংপুর নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আমাশু কুকরুল এলাকায় প্রায় ৮০ একর জমি নিয়ে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে বিভাগীয় ইজতেমার আয়োজন করা হয়। মাসব্যাপী প্রস্তুতিতে পুরো ইজতেমার মাঠ ঘেরা হয়েছিল। যেখানে আগের রাতেই, অর্থাৎ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সবাই ইজতেমা মাঠে আসেন এবং মাঠ ভরে যায়।
আয়োজক কমিটির তথ্য মতে, এবারের বিভাগীয় ইজতেমায় রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে তাবলিগের সাথিরা অংশ নিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলার ৪০ দিনের চিল্লায় অংশ নেওয়া সাথীরাও অংশ নেন এই ইজতেমায়। সবমিলিয়ে কয়েক লক্ষাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসে অংশ নিয়েছেন প্রায় ২০০ বিদেশি মেহমান। যা সুন্দরভাবে আয়োজন শেষ হয়েছে আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে।
আয়োজক কমিটির সদস্য খালেকুজ্জামান রাজা জানান, বিভাগীয় ইজতেমার মাঠকে আলোকিত রাখতে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি শতাধিক জেনারেটর প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো। মুসল্লিদের ওজু ও গোসলের জন্য পর্যাপ্ত পানি ও ট্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অর্ধশতাধিক মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক মাঠে নিয়োজিত ছিলো।
অপরদিকে বিভাগীয় ইজতেমার নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাদা পোশাকে পুলিশি নজরদারির পাশাপাশি সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিলো, বলে জানিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী।
এদিকে রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার মাঠে ঠান্ডাজনিত সমস্যার কারণে দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যু বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।
