
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে এ দিবস উপলক্ষ্যে রবির অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-২ হতে একটি বিজয় র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ গিয়ে শেষ হয়।
এরপর রবির অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া। পরে রবির অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ স্থাপিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
রবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া বলেন, প্রথমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। বিজয় দিবস আমাদের অহংকারের দিন, গৌরবের দিন, ঐতিহ্যের দিন, ইতিহাসে স্থান করে নেয়ার দিন। এ দিনের পেছনে যাদের অবদান রয়েছে এবং যারা আত্মত্যাগ রয়েছে তাদের যেন আমরা ভুলে না যাই। সময় সময় নানাভাবে আমাদের প্রেক্ষিত পরিবর্তন হয়। সেই প্রেক্ষিত থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের ঐক্য প্রয়োজন হয়। যে ঐক্য আমরা ১৯৭১ সালে দেখিয়েছিলাম- জাতি, ধর্ম-বর্ণ ছাত্র-জনতা, শিক্ষক, সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীসহ নির্বিশেষে আমরা একতার মাধ্যমে এ দেশকে স্বাধীন করেছিলাম। নানা কারণে সেই ঐক্য ভূলুণ্ঠিত হয় বলে ভুঁইফোর স্বার্থবাদী জাগ্রত হয়। এজন্য ফ্যাসিস্টের বিতাড়নের প্রয়োজন পড়ে। ছাত্র-জনতা আবার আন্দোলনে নামে ইতিহাস গড়ে।
এ সময় তিনি রবির বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। দিনব্যাপী এ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বে বিকেলে রবির অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ প্রাঙ্গণে রবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেললের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।