
পাবনার ঈশ্বরদীতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ আছর ঈশ্বরদী শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতে ইসলামী এ গায়েবানা নামাজে জানাজার আয়োজন করে।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও পাবনা জেলা তালিমুল কুরআন বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম রাব্বানী খান জুবায়ের।
ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় জানাজা-পূর্ব আলোচনায় বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী–আটঘরিয়া) আসনের জামায়াতে ইসলাম মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, বগুড়া অঞ্চল টিমের সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যে অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, আমরা ওসমান হাদির মতো কোনো সন্তানকে হারাতে চাই না। তিনি আমাদের দেখিয়ে গেছেন কীভাবে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ন্যায়ের পথে চলতে হয় এবং কীভাবে দেশ ও জাতির জন্য আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, মাত্র ৩২ বছর বয়সেই ওসমান হাদি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এত অল্প বয়সে এমন প্রভাব বিস্তার ইতিহাসে বিরল। তিনি যেমন প্রকৃত শত্রু চিনতে পেরেছিলেন, তেমনি তার শত্রুরাও বুঝে নিয়েছিল তিনি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণাকালে মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাথায় গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি মারা যান।
শনিবার বেলা আড়াইটায় রাজধানীর সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের নিকট তাকে দাফন করা হয়।
গায়েবানা জানাজায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীবৃন্দ ও ঈশ্বরদীর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।