জনতা ব্যাংক থেকে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বারকাতকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এর আগে, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মিরাজ গত ১১ জুলাই তার তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। সে সময় আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৩ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন।
বুধবার আদালতে হাজির করা হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. শাহীনুর ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, ১০ জুলাই রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩ নম্বর সড়ক এলাকা থেকে আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
দুদকের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, এননটেক্স গ্রুপের নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে জনতা ব্যাংক থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা। এ অর্থ আত্মসাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং অধ্যাপক আবুল বারকাতসহ মোট ২৩ জনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, গভর্নর আতিউর রহমান এবং চেয়ারম্যান আবুল বারকাতের নেতৃত্বে এননটেক্স গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ২২টি প্রতিষ্ঠানকে অনৈতিকভাবে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এসব অর্থ মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমেও সরিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মামলার অন্যান্য আসামির মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদসহ সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।