
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় গ্রেপ্তার সেনা কর্মকর্তাদের কোন কারাগারে রাখা হবে, তার সিদ্ধান্ত কারা কর্তৃপক্ষ বা সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আদালত কেবল তাদের কাস্টডিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কাস্টডি মানে তারা এখন কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে। কোন জেলে বা সাবজেলে রাখা হবে, ঢাকায় থাকবে না চট্টগ্রামে পাঠানো হবে, এটা সম্পূর্ণ সরকারের বা কারা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, আদালতের কাজ হচ্ছে তাদের কাস্টডিতে পাঠিয়ে দেওয়া। কাস্টডি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা নির্দিষ্টভাবে কারা অধিদপ্তরের। কারা কর্তৃপক্ষই ঠিক করবেন তারা কোথায় থাকবেন এবং কীভাবে আদালতে হাজির হবেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ কোন আসামিকে কি পদ্ধতিতে আদালতে হাজির করবেন, এটা কারা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। এই ব্যাপারে আমাদের কিছুই বলার নেই।
এর আগে সকালে, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে সংঘটিত গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক ৩টি মামলায় সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। যাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তা এবং একজন অবসরকালীন ছুটিতে আছেন।