অনলাইন সংস্করণ
১৭:৪৮, ২২ অক্টোবর, ২০২৫
চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘঠিত করার দায়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার দিন আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধার্য হতে পারে।
মামলাটির অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এর মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজস্বাক্ষী হয়েছেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজকে পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) এবং উপস্থিত রাজসাক্ষী (আসামি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। প্রসিকিউশনের পক্ষে আমরা জবাব দেব। তবে কিছু অংশ আমরা উপস্থাপন করে জবাব দিয়েছি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার চিফ প্রসিকিউটর ও অ্যাটর্নি জেনারেল সমাপনী বক্তব্য রাখবেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য হবে।
এদিন, বিকেল সোয়া ৩টার পর আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। টানা তিন দিনের যুক্তি উপস্থাপন শেষে নিজের মক্কেলদের নির্দোষ দাবি করে খালাসের আবেদন করেছেন তিনি।
সাক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে আজ যুক্তি খণ্ডন করেন আমির হোসেন। বিশেষত রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনের সাক্ষ্য সামনে আনেন। একইসঙ্গে, তাদের দেওয়া সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করেন। পরে যুক্তি উপস্থাপন করেন রাজসাক্ষী চৌধুরী মামুনের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, সুলতান মাহমুদসহ অন্যরা।