
আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে দুই দফা দাবি পূরণের আশ্বাসে সারাদেশে কলমবিরতি পালনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আমাদের যৌক্তিক দাবির বিষয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। আলোচনাসাপেক্ষে ঘোষিত কলমবিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি রোববার সারাদেশে বিচারকদের কালোব্যাজ ধারণ ও রাজশাহীর ঘটনায় সব আদালতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুই দফা দাবিতে সারাদেশের বিচারকেরা একযোগে কলমবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে দেশের প্রতিটি আদালত, বিচারকের বাসস্থান ও যাতায়াতের সময় অবিলম্বে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী নিযুক্ত করতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল।
ওইদিন এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, রাজশাহীর ঘটনা বিচারকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবহেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং গ্রেপ্তার করা আসামিকে আইন বহির্ভূতভাবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে অপেশাদারিত্ব প্রদর্শনের দায়ে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও বিবৃতিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ২ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে রোববার থেকে সারাদেশের বিচারকেরা কলমবিরতি পালনের হুঁশিয়ারি দেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজশাহীর তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হন বিচারক মো. আব্দুর রহমানের ছেলে ও নবম শ্রেণিপড়ুয়া শিক্ষার্থী তাওসিফ রহমান (১৫)। ওইদিন দুপুরে বিচারকের বাসায় যান গাইবান্ধার ফুলছড়ির বাসিন্দা লিমন মিয়া (৩৪)। পরে তিনি বিচারকের ছেলে তাওসিফকে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। একই ঘটনায় লিমনের ছুরিকাঘাতে ওই বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিও (৪৪) আহত হন। এছাড়াও ঘটনার সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে অভিযুক্ত লিমনও আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) সারাদেশে কালোব্যাজ ধারণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে সংগঠনটি।
আবা/এসআর/২৫