নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে এক নারীর গলাকাটা ও এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য জানান সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম।
তিনি জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলস্থ নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের আবাসিক টিনসেড কলোনির একটি বাসা থেকে সাবিনা আক্তার লাকি (৩২) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি স্থানীয় রুবেল মিয়ার স্ত্রী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ টিনসেড কলোনির বরাদ্দকৃত বাসায় সওজের কর্মচারীদের অধিকাংশই নিজেরা না বসবাস করে ঘরগুলো বাইরের লোকজনের কাছে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। এতে করে এ কলোনিটি বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং মহাসড়কের পাশে হওয়ায় মাদক, সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। যে বাসায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা সওজ ভিটিকান্দি সড়ক উপ-বিভাগ নারায়ণগঞ্জ এর উচ্চমান সহকারী মো. আবু তাহেরের নামে বরাদ্দ নেয়া। তিনি বাসাটি ভাড়া দিয়ে অন্যত্র বসবাস করেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, লাকি আক্তারের স্বামী রুবেল মিয়া হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিরব নামে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। প্রায়ই নিরবের বাসায় যাতায়াত করতেন। মঙ্গলবার রাতেও তিনি নিরবের বাসায় যান। আর বুধবার সকালে তার লাশ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে নিরব পলাতক রয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, আমরা নিরবের বাসা থেকে লাকির লাশ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিরোধের জেরেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
ওসি শাহিনূর আলম বলেন, নিহতের সন্তানরা ছোট হওয়ায় ঘটনার বিস্তারিত বলতে পারছে না। স্বামী রুবেল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, তিনি থানায় আসছেন।
এদিকে একইদিন সকাল ৯টার দিকে পাইনাদী সিআই খোলা এলাকার ডিএনডি লেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার আনুমানিক বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর।
এ বিষয়ে ওসি শাহিনুর আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই যুবককে হত্যা করে লাশ লেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিচয় শনাক্ত ও হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
