ঈদের আনন্দ শুধু উৎসবেই সীমাবদ্ধ নয়, খাবারের আয়োজনেও থাকে বিশাল পরিবর্তন। তবে এই আনন্দঘন সময়েই অসতর্ক খাবার গ্রহণে ঘটতে পারে শারীরিক বিপত্তি। পবিত্র ঈদুল আজহারে বদলে যায় মানুষের জীবনধারা। খাবার খাওয়ার সময় থেকে শুরু করে খাবারের ধরন—সব কিছুতেই আসে পরিবর্তন। চাঁদ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় উৎসবের আমেজ।
তবে ঈদের আনন্দে মজে গিয়ে যদি খাবারে অতিরিক্ততা চলে আসে, তাহলে শরীর তার প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করে। অ্যাসিডিটি, পেটব্যথা, গ্যাস্ট্রিক কিংবা বদহজম—এসব সমস্যা হরহামেশা দেখা দেয় ঈদের কয়েকটি দিনে। অতিরিক্ত আয়োজন নয়, স্বাস্থ্যকর বেছে নিন ঈদে সবাই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বড় আয়োজন করেন। নিজের বাসায় কিংবা অতিথি হয়ে অন্যের বাড়িতে গেলেও থাকে খাবারের জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশ। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে—এমনটাই জানালেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী— সামনে যতই লোভনীয় খাবার থাকুক না কেন, খাওয়ার পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ আনুন। অল্প পরিমাণে বিভিন্ন পদের স্বাদ নিতে পারেন, তবে অনেক রকম খাবার একসঙ্গে না খাওয়াই ভালো। প্রয়োজন হলে খাবারের মাঝে বিরতি নিন। অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
উৎসবের আয়োজনে অবশ্যই রাখুন সবজি ও ফল। খাওয়ার সময় মনোযোগ দিন শুধু খাবারের দিকেই। সিনেমা দেখা, গল্প করা বা অন্য কোনো কাজে খেয়াল দিলে অজান্তেই বেশি খাওয়া হয়ে যেতে পারে। যখনই পেট মোটামুটি ভরে যাবে, তখনই খাওয়া বন্ধ করুন। ভরপেট খাবেন না। সতর্ক থাকলেই থাকবে আনন্দ ঈদের খাবার হোক আনন্দের, কষ্টের নয়। একটু সচেতন থাকলেই উৎসব উপভোগ করা যাবে পুরোপুরি, সেই সঙ্গে শরীরও থাকবে সুস্থ ও প্রাণবন্ত।