যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে চীন ও কানাডা। এতে দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা তীব্র হচ্ছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং ও অটোয়া। এর মধ্য দিয়ে বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে বিশ্বের শীর্ষ অংশীদার এই তিন দেশ। এ খবর দিয়েছে এনবিসি নিউজ।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি চীনা পণ্যের উপরও ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করা হয়েছে। গত বছর এই তিন দেশ থেকে মোট ৪০ শতাংশ পণ্য আমদানি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যা এ বছর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পর ব্যাহত হতে পারে। এদিকে মার্কিন পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে চীন ও কানাডা। বেইজিং জানিয়েছে, মার্কিন পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে তারা।
অন্যদিকে কানাডা ঘোষণা দিয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকৃত পণ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবে। চীনের নতুন শুল্ক নীতি আগামী ১০ মার্চ থেকে কার্যকর করা হবে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা মুরগি, গম, ভুট্টা ও তুলার ওপর ১৫ শতাংশ এবং জোয়ার, সয়াবিন, শুকরের মাংস, গরুর মাংস, ফল, শাকসবজি, দুগ্ধজাত ও জলজ পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপক করবে বেইজিং।
যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধি বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ করেছে চীন।এক বিবৃতিতে দেশটির কাস্টমস ট্যারিফ কমিশন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার ক্ষতি করছে। আমেরিকান ব্যবসা ও ভোক্তাদের ওপর বোঝা বাড়ানোর পাশাপাশি চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার ভিত্তিকে দুর্বল করছে। ৪ ফেব্রুয়ারি চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দেন ট্রাম্প। যা এক মাস পর কার্যকর করা হচ্ছে। এর বিপরীতে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং বড় ইঞ্জিনের গাড়ি সহ অন্যান্য পণ্যের ওপর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিযোগ্য প্রায় ১৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। এর মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কার্যকরের কথা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। আর বাকি ১২৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর আগামী ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের শুল্ক নীতি পরিবর্তন না করা পর্যন্ত নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থাকার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।