ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়াবে কিনা তার সিদ্ধান্ত দুই সপ্তাহের মধ্যে নেবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই দুই সপ্তাহের সময়সীমা দেওয়া ট্রাম্পের জন্য নতুন কিছু নয়, বরং তা ট্রাম্পের পুরোনো অভ্যাস।
শুক্রবার (২০ জুন) পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালাবেন কি না- সেই সিদ্ধান্ত ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে’ নেবেন। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই ‘দুই সপ্তাহ’ টাইমলাইনটি ট্রাম্পের খুব পরিচিত কৌশল, যেটা তিনি আগেও বহুবার ব্যবহার করেছেন- তবে তা বাস্তবায়ন করেননি।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, প্রায় সাড়ে তিন সপ্তাহ আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে যুদ্ধ থামানোর সদিচ্ছা না দেখায়, তাহলে দুই সপ্তাহের মধ্যে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এখনও সে বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি।
গত এক সপ্তাহ আগে তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্যারিফ (শুল্ক) কাঠামো নিয়ে আমদানি-রপ্তানিকারকদের চিঠি পাঠানো হবে দুই সপ্তাহের মধ্যে। এর আগে গত মে মাসে আবার বলেছিলেন, নতুন আমদানি শুল্ক ব্যবস্থা ‘দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে’ কার্যকর হবে। তবে সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও তেমন কিছু হয়নি।
এমনকি ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময়েও তিনি বলেছিলেন ‘সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনা’ প্রকাশ করবেন দুই সপ্তাহের মধ্যে। তবে বাস্তবে কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ হয়নি।
এই ‘দুই সপ্তাহের’ সময়সীমা ট্রাম্পের প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে আরও বহুবার দেখা গেছে। সেই হিসেবে ট্রাম্পের ক্ষেত্রে ‘দুই সপ্তাহের সময়সীমা’ মানে সেটি নিশ্চিত কোনো সময়সীমা নয়।