গাজায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে সরবরাহ করা আটা বস্তায় পাওয়া গেছে শক্তিশালী মাদকজাত ব্যথানাশক ‘অক্সিকোডন’। বিষয়টি সামনে আসার পর ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়েছে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম দফতর শুক্রবার (১৩ জুন) এক বিবৃতিতে জানায়, এখন পর্যন্ত চারজন সাধারণ নাগরিকের সাক্ষ্য থেকে জানা গেছে, তারা ত্রাণ হিসেবে পাওয়া আটার বস্তার ভেতরে এই ট্যাবলেট পেয়েছেন। কিছু বস্তায় গুঁড়ো করা অবস্থায় এই ওষুধ মেশানো হয়েছিল বলেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
অক্সিকোডন মূলত ক্যানসার রোগীদের তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা উপশমে ব্যবহৃত হলেও এটি অত্যন্ত আসক্তিকর ও মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওষুধ। শ্বাসকষ্ট, বিভ্রমসহ এর কারণে প্রাণঘাতী জটিলতাও হতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে আটা বস্তার ভেতর পাওয়া ট্যাবলেটের ছবি। এ নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গাজার ফার্মাসিস্ট ওমর হামাদ একে ‘গণহত্যার সবচেয়ে জঘন্য রূপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত সাইকোলজিক্যাল ও কেমিক্যাল আক্রমণ। চিকিৎসক খালিল মাজেন আবু নাদা বলেন, 'এটি আমাদের জাতিগত চেতনা নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা।'
গাজা প্রশাসনের দাবি, ইসরায়েল এই ধরনের মাদককে ‘মানবিক ত্রাণ’ আখ্যা দিয়ে পাচার করছে এবং আমেরিকার সহায়তায় পরিচালিত বিতরণ কেন্দ্রগুলো এখন পরিণত হয়েছে ‘মৃত্যুকূপে’।
এ ঘটনাকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করে তারা অভিযোগ করেছে, ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের ওষুধ ঢুকিয়ে ফিলিস্তিনি সমাজে আসক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে জাতিগতভাবে ধ্বংস করার পথ বেছে নিয়েছে ইসরায়েল।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই