ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টিজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
সোমবার (২২ জুলাই) মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টিতে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত গাজায় অনাহারে মারা যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে।
এদিকে, গাজা অবরুদ্ধ থাকায় সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল সরকারের কাছে গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশ ও গাজা থেকে তাদের বের হওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো— এএফপি, এপি, রয়টার্স এবং বিবিসি।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছে, “আমরা গাজার সাংবাদিকদের জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, যারা নিজেরা এবং পরিবারের সদস্যদের খাদ্য জোগাড় করতেও হিমশিম খাচ্ছেন।”
গাজায় অগ্নিকাণ্ডে আরও প্রাণহানি
এদিকে, গাজার কেন্দ্রীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স। অপরদিকে, বুরেইজ শরণার্থী শিবিরেও একটি অগ্নিকাণ্ডে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
হাঙ্গেরিতে ফিলিস্তিনপন্থী ব্যান্ড ‘ক্নিক্যাপ’-এর নিষেধাজ্ঞা
ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনের কারণে বিতর্কিত হয়ে ওঠা আইরিশ র্যাপ ব্যান্ড ‘ক্নিক্যাপ’কে হাঙ্গেরিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তারা ১১ আগস্ট হাঙ্গেরির জনপ্রিয় সিগেট ফেস্টিভ্যালে পারফর্ম করার কথা ছিল।
হাঙ্গেরি সরকার জানিয়েছে, ওই ব্যান্ড সদস্যরা "সন্ত্রাসবাদে উস্কানি ও হিজবুল্লাহ-হামাসের প্রকাশ্য প্রশংসা করেছেন", যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। তবে ব্যান্ডটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা কোনো সহিংসতা সমর্থন করে না এবং কেবল গাজায় চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।
সূত্র: আলজাজিরা