
শেয়ার বাজার কারসাজি ও ঘুষসহ একাধিক অভিযোগে পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হি-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্টদের বিরুদ্ধে মামলা ও কারাবাসের ইতিহাস আছে। তবে এবারই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ফার্স্ট লেডি দুজনকেই কারাগারে পাঠানো হলো।
কিমের স্বামী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত বছর ব্যর্থ সামরিক আইন প্রয়োগের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। এই ঘটনা দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কিম (৫২) ডয়চ মোটরস—দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিএমডব্লিউ ডিলারের—শেয়ারের দাম কারসাজির মাধ্যমে ৮০০ মিলিয়ন ওন (প্রায় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪০ মার্কিন ডলার) অবৈধভাবে আয় করেন। এই ঘটনা তার স্বামী প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই ঘটলেও, পুরো প্রেসিডেন্সি জুড়ে এর প্রভাব ছিল।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি ব্যবসায়িক সুবিধার বিনিময়ে বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চ থেকে দুইটি শ্যানেল ব্যাগ ও একটি হীরার নেকলেস ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার কালো স্যুট ও স্কার্ট পরে গম্ভীর মুখে আদালতে হাজির হন কিম। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নই, তবুও সমস্যার সৃষ্টি করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”
আবা/এসআর/২৫