অনলাইন সংস্করণ
২০:৫৬, ২১ আগস্ট, ২০২৫
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে, এরপর আর কোনো পদে থাকবেন না—এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেসারেট নিউজে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস লেখেন, “আমি স্পষ্ট করেছি : জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে। এরপর যে সরকার আসবে সেখানে নির্বাচিত বা নিযুক্ত কোনো পদে আমি থাকব না।”
তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তার লক্ষ্য কেবল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করা। বিদেশে থাকা নাগরিকসহ সব বৈধ ভোটার যাতে ভোট দিতে পারেন—সে সুযোগ নিশ্চিত করাই মূল মিশন।
নিবন্ধে ড. ইউনূস স্মরণ করিয়ে দেন, এক বছর আগে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারের পতন হয় এবং তরুণদের দাবির মুখে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব নিতে সম্মত হন। তখন দেশ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও লিখেছেন, গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা এবং বিগত সরকারের আত্মসাৎ করা বিলিয়ন ডলার উদ্ধারে সরকার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল, বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে নিয়ে একটি সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সাংবিধানিক সংশোধন, যাতে বাংলাদেশ আর কখনো স্বৈরাচারী শাসনে না ফেরে।
একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ড. ইউনূস মনে করেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে মানুষের দৃঢ়তা, সাহস ও কল্পনার ওপর। আর এ যাত্রায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।