অনলাইন সংস্করণ
১৯:২৫, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
১এমডিবি কেলেঙ্কারির আরেক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করেন। অর্থপাচারের ২১টি অভিযোগ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি অভিযোগের সবকটিতেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
নাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মালয়েশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ তহবিল ১এমডিবি থেকে অবৈধভাবে ২২০ কোটি মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৪ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেছিলেন।
রায়ে বিচারক কলিন লরেন্স সেকেরাহ বলেন, ‘আসামি দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিন্তু অকাট্য প্রমাণের মাধ্যমে সেসব দাবি খণ্ডিত হয়েছে। এসব প্রমাণ স্পষ্টভাবে দেখায়, আসামি ১এমডিবিতে তার নিজস্ব শক্তিশালী অবস্থান এবং তার ওপর অর্পিত বিস্তৃত ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা প্রতিটি অভিযোগে ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে চূড়ান্ত সাজা এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং ১এমডিবি উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের অবস্থানের অপব্যবহার করেছেন নাজিব। তিনি এক দশকেরও বেশি আগে সার্বভৌম তহবিল থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ তার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেছিলেন।
এর আগে ২০২০ সালে ১এমডিবি তহবিল থেকে প্রায় ৯০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার আত্মসাতের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন নাজিব। সে মামলায় তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে অবশ্য সাজা কমিয়ে ৬ বছর করা হয়। দেশটির সেলাঙ্গর প্রদেশের কাজাং জেলে তিনি এখন এই সাজা ভোগ করছেন।
গত বছর ১এমডিবি কেলেঙ্কারি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছিলেন নাজিব। তবে সাম্প্রতিক বিচারে তিনি দাবি করেন, পলাতক মালয়েশীয় অর্থলগ্নিকারী জো লো তাকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। জো লো ২০১৬ সাল থেকে ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছেন।