অনলাইন সংস্করণ
১৮:৪২, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের জন্য ২০০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশসহ মোট ১৭টি দেশ এই সহায়তা পাবে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এমন সময়ে এই ঘোষণা এলো, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সামগ্রিকভাবে বিদেশি সহায়তা কমাচ্ছে এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে নতুন আর্থিক বাস্তবতায় ‘খাপ খাওয়াতে, সঙ্কুচিত হতে অথবা বিলুপ্ত হতে’ আহ্বান জানাচ্ছে।
ঘোষিত এই অর্থ অতীতের অনেক তুলনায় কম হলেও ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, এটি যথেষ্ট উদার সহায়তা এবং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক দাতা হিসেবে নিজের অবস্থান বজায় রাখছে।
এই অর্থ একটি সমন্বিত তহবিলের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। ওই তহবিল থেকে বিভিন্ন জাতিসংঘ সংস্থা ও অগ্রাধিকারভিত্তিক খাতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। জাতিসংঘ ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে চাপ দিচ্ছে, তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই নতুন পদ্ধতি। তবে এই ব্যবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবিক সহায়তা খাতে কর্মরত অনেকেই। তাদের আশঙ্কা, এতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও সেবায় বড় ধরনের কাটছাঁট হতে পারে।
প্রাথমিকভাবে যেসব দেশ এই সহায়তা পাবে, সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, কঙ্গো, হাইতি, সিরিয়া ও ইউক্রেনের নাম। তবে বিশ্বের অন্যতম সংকটাপন্ন দেশ আফগানিস্তান এই তালিকায় নেই। একইভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডও অন্তর্ভুক্ত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গাজা নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার আওতায় আলাদা তহবিল থেকে সেখানে সহায়তা দেওয়া হবে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতিসংঘ-সমর্থিত মানবিক কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক সহায়তা সর্বোচ্চ ১৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। এর মধ্যে আট থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার ছিল স্বেচ্ছা অনুদান, বাকি অংশ জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মিত চাঁদা।