অনলাইন সংস্করণ
১০:৪৬, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পেশাদার কূটনীতিক ব্রেন্ট টি. ক্রিস্টেনসেনকে মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউস এই মনোনয়ন সিনেটে শুনানির জন্য পাঠিয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে তিনি ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন।
ব্রেন্ট টি. ক্রিস্টেনসেনের রয়েছে দীর্ঘ কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা। ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি তাকে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এর আগে, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত কমান্ডারের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। এ সময়ে তিনি ইউএস স্ট্র্যাটকমের বৈশ্বিক কৌশলগত প্রতিরোধ মিশনে পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন।
ক্রিস্টেনসেন ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে তার রয়েছে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা।
তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরের পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর, হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির এশিয়া ও প্যাসিফিক সাবকমিটির স্টাফ ফেলো, এবং উত্তর কোরিয়া নীতি সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধির সহকারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া ম্যানিলা, সান সালভাদর, রিয়াদ এবং হো চি মিন সিটির মার্কিন মিশনগুলোতেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন।
ক্রিস্টেনসেন ন্যাশনাল ওয়ার কলেজ থেকে ডিস্টিংগুইশড গ্র্যাজুয়েট হিসেবে পাশ করেছেন এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন ২০২২ সালে।
এর আগে তিনি টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান, এবং রাইস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি ও ম্যানেজারিয়াল স্টাডিজে ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন।
ভাষাগতভাবে তিনি স্প্যানিশ, জার্মান ও ভিয়েতনামি ভাষায় দক্ষ, পাশাপাশি শিখেছেন ফরাসি, জাপানি ও পর্তুগিজ।
ফরেন সার্ভিসে যোগদানের আগে তিনি হিউস্টন ও নিউইয়র্কে ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কূটনৈতিক বিভাগে তার যোগদানের মাধ্যমে শুরু হয় কূটনীতিক জীবন।