ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গঙ্গার পানি চুক্তি নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে ঢাকা-দিল্লি

গঙ্গার পানি চুক্তি নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে ঢাকা-দিল্লি

গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশেষ এ বৈঠকে অংশ নেবেন দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা।

১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি হয়। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া ও বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০ বছর মেয়াদি এই চুক্তি করেন। আগামী বছর ডিসেম্বরে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তাই মঙ্গলবারের বৈঠকে এই চুক্তির নানা পর্যালোচনা ও সংশোধন নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এবারের বৈঠকে ঢাকার পক্ষ থেকে অংশ নেবে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি কারিগরি দল। এতে অংশ নিতে আজই (সোমবার) বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের রওনা দেওয়ার কথা।

চুক্তির বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ফরাক্কা ব্যারাজে অবস্থান করেন। প্রতিদিন চারবার করে পানি ছাড়ার পরিমাণ খতিয়ে দেখেন তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের সময় বাংলাদেশ গড়ে ৪০ হাজার কিউসেক পানি চাইতে পারে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চুক্তিটি দীর্ঘমেয়াদি করার পরিকল্পনাও আছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

অন্যদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের পর এবার বাংলাদেশের সঙ্গেও আগামী বছর মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির শর্ত পুনঃআলোচনা করে ঠিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানায়, নয়াদিল্লি ঢাকাকে জানিয়েছে, উন্নয়ন চাহিদা মেটাতে ভারতের আরো পানিসম্পদের প্রয়োজন। এছাড়া, নতুন চুক্তিটিও হবে আগের চেয়ে স্বল্পমেয়াদি, সম্ভবত ১০ থেকে ১৫ বছরের।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেবল গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। অন্য কোনো অভিন্ন নদী নিয়ে পানিবণ্টনের আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি, যদিও আলোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই।

গঙ্গা নদী,পানিবণ্টন,চুক্তি,ঢাকা,দিল্লি,বাংলাদেশ,ভারত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত