অনলাইন সংস্করণ
১৬:৩৫, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আরও স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করার লক্ষ্যে আটটি সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’-এ এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ববর্তী সরকারের প্রণীত বাজেট কাঠামো অবিকৃত অবস্থায় বহাল রেখেছে। যদিও কাঠামোতে কোনো বড় পরিবর্তন আনা হয়নি, তবে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, পূর্ববর্তী সরকার অনলাইনে বাজেট প্রস্তাব ও অনুমোদিত বাজেট প্রকাশ করলেও, বছরের শেষ হিসাব যথাসময়ে প্রদান করা হয়নি। বাজেটে আয়, ব্যয়, ঋণ ও সম্পদ আহরণের তথ্য থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তথ্য ঘাটতি ছিল। বিশেষ করে নির্বাহী বিভাগের ব্যয় আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।
এ ছাড়া, সরকারি নিরীক্ষা সংস্থা পূর্ণাঙ্গ হিসাব যাচাই করতে না পারায় এর কার্যকারিতা ও স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাকৃতিক সম্পদ খাতে চুক্তি ও লাইসেন্স প্রদানে তুলনামূলক স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে। তবে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার বিষয়ে সীমিত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
ইতিবাচক দিক হিসেবে প্রতিবেদনে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকার প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের কার্যক্রম উন্মুক্তভাবে সম্পন্ন করছে এবং পূর্ববর্তী সরকারের সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি স্থগিত করেছে।
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর যে আটটি সুপারিশ করেছে, তা হলো:
১. বছরের শেষ হিসাব প্রতিবেদন দ্রুত ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা।
২. বাজেট নথি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী প্রস্তুত করা।
৩. নির্বাহী বিভাগের ব্যয় আলাদাভাবে প্রদর্শন।
৪. রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ চিত্র বাজেটে উপস্থাপন করা।
৫. আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
৬. প্রস্তাবনা ও বিস্তারিত তথ্যসহ সময়মতো পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করা।
৭. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ–সংক্রান্ত চুক্তির তথ্য প্রকাশ।
৮. সরকারি ক্রয়ের বিস্তারিত তথ্য উন্মুক্ত করা।