ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শুভ মহালয়া আজ

শুভ মহালয়া আজ

সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্য লগ্ন ‘শুভ মহালয়া’ আজ। এর মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আগমনের ধ্বনি বেজেছে বলে বিশ্বাস করেন তারা।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে দেবীপক্ষ শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনা শুরু হয়। ভোরে চন্ডী পাঠের মাধ্যমে ধরণীর সকল অমঙ্গল দূর করতে দেবীকে মর্তে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর পাশাপাশি পিতৃপক্ষের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করে আত্মার মঙ্গল কামনা করেন মর্তবাসী।

মহালয়া উপলক্ষে দেশের সকল মন্দির ও পূজামণ্ডপে আজ ধর্মীয় নানা আচার ও অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।

মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুরাণে আছে দুর্গোৎসবের তিনটি পর্ব- ‘মহালয়া’, ‘বোধন’ আর ‘সন্ধিপূজা’। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনও মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলে অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।

তাই ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব ত্রয়ী সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’র রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের দশটি অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে সিংহবাহিনী নিয়ে দেবী দুর্গা ৯ দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করে।

দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। পুরাণে মতে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলে অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।

এই বছর সারাদেশে ৩৩ হাজার ৫৭৬টি মন্ডপে দুর্গার আরাধনা হবে। এরইমধ্যে সব মন্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

আবা/এসআর/২৫

শুভ মহালয়া
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত