অনলাইন সংস্করণ
১৩:১১, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫
আজ দেশে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব শিশু দিবস’। শিশুদের অধিকার, সম্মান, সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বাংলাদেশে দিনটি পালন করা হয়। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন তারিখে উদযাপিত হলেও শিশুদের উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাই এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
দিবসটি উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে দেশের শিশুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শিশুদের সৎ, মমতাময় ও মুক্তচিন্তার পরিবেশে বড় হতে দিলে তারা আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হবে। বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য, প্রযুক্তি, ক্রীড়া ও নেতৃত্বে বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ‘বিশ্ব শিশু দিবস-২০২৫’ আমাদের নতুন প্রতিজ্ঞায় উজ্জীবিত করবে, যাতে প্রতিটি শিশু নিরাপদ ও সৃজনশীল পরিবেশে বেড়ে ওঠে। শিশুদের জন্য একটি আলোকিত আগামী গড়াই হবে নতুন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন।’
তিনি ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৫’-এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্যও কামনা করেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ব শিশু দিবসের ধারণাটি প্রথম উঠে আসে ১৮৫৭ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের চেলসিতে। সেখানে চার্চ অফ দ্য রিডিমারের যাজক রেভারেন্ড ডা. চার্লস লিওনার্ড শিশুদের জন্য বিশেষ ধর্মীয় সেবা অনুষ্ঠান আয়োজন করেন, যার নাম ছিল ‘রোজ ডে’। পরে তা ‘ফ্লাওয়ার সানডে’ হয়ে শেষ পর্যন্ত পরিচিতি পায় ‘চিলড্রেনস ডে’ নামে।
১৯২০ সালে তুরস্ক ২৩ এপ্রিলকে শিশু দিবস হিসেবে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করে, যা ১৯২৯ সালে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়। এরপর ১৯২৫ সালে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব শিশু কল্যাণ সম্মেলন’-এ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে শিশু দিবস পালনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ শিশু অধিকারের ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে এবং বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপনের আহ্বান জানায়।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে র্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিশু অধিকারবিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম। এসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুদের জন্য নিরাপদ, সম্মানজনক ও উন্নয়নমুখী পরিবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।