অনলাইন সংস্করণ
১৪:৫৫, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, জুলাই যোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সনদে জরুরি সংশোধন আনা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চে তিনি জুলাই যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে এইভাবে দেখা করতে হচ্ছে, আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। জুলাই যোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সনদের পঞ্চম দফার অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন তৈরি করা হচ্ছে। যা চূড়ান্ত সনদে থাকবে। সেখানে স্বীকৃতি, মর্যাদা এবং সুরক্ষা থাকবে।’
ড. আলী রীয়াজ আরও জানান, এসব বিষয়ে কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
তিনি উল্লেখ করেন, কমিশনের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রয়েছে এবং আজকের দিনই শেষ কথা নয়। সরকারের ব্যবস্থার দিকে নজর রাখা হবে। বিকেলে সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে বলে আন্দোলনরত জুলাই যোদ্ধাদের চলে যাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
তবে কমিশনের আহ্বানে রাজি হননি জুলাই যোদ্ধারা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সংসদ ভবন এলাকা থেকে বাইরে নিয়ে যান।
এর আগে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত থেকে অবস্থান করা বিক্ষুদ্ধ জুলাই যোদ্ধারা সংসদ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। অনেকেই নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙে গ্রিলের ওপর দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মূল ফটক উন্মুক্ত করেন।
পাঁচ শতাধিক বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী মূল মঞ্চ এবং অতিথিদের জন্য নির্ধারিত স্থানে বসে পড়েন।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, সনদ প্রণয়নে তাদের পরামর্শ নেয়া হয়নি এবং স্বীকৃতি না দিয়ে তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। তারা ১০ সদস্যের প্রতিনিধিকে মঞ্চে জায়গা দেয়ার দাবিও জানিয়েছেন।
বিকেল ৪টায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকলেও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতি সাপেক্ষে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।