ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার যোগদান

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার যোগদান

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন তিনি।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদসহ জাতীয় রাজনীতির প্রায় সব বড় দলই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হবে।

গত বছরের আগস্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

প্রথম ধাপে ছয়টি সংস্কার কমিশন (সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন) গঠন করা হয়। এসব কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একাধিক দফা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে।

ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত চলা সেই আলোচনায় ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়। পরে ঐকমত্য কমিশন ওই প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্ত করে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর খসড়া তৈরি করে। খসড়ার ওপর পুনরায় আলোচনা এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার পর সনদের চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদিত হয়। গত মঙ্গলবার সব রাজনৈতিক দলকে চূড়ান্ত কপি সরবরাহ করা হয়।

আজকের অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলো এই ঐতিহাসিক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ আয়োজনকে ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।

সকালে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ চলাকালে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও ‘জুলাই যোদ্ধা’দের বীর হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ তাদের স্বীকৃতি জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাস দিলেও তারা অবস্থান চালিয়ে যান।

পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সরিয়ে দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যেই অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করা হয়েছে, যাতে জুলাই যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দেশের ইতিহাসে এই জুলাই জাতীয় সনদকে অনেকেই একটি ঐক্য ও সংস্কারের প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সনদ বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তনের নতুন অধ্যায় শুরু হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার যোগদান

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন তিনি।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদসহ জাতীয় রাজনীতির প্রায় সব বড় দলই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হবে।

গত বছরের আগস্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

প্রথম ধাপে ছয়টি সংস্কার কমিশন (সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন) গঠন করা হয়। এসব কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একাধিক দফা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে।

ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত চলা সেই আলোচনায় ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়। পরে ঐকমত্য কমিশন ওই প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্ত করে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এর খসড়া তৈরি করে। খসড়ার ওপর পুনরায় আলোচনা এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার পর সনদের চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদিত হয়। গত মঙ্গলবার সব রাজনৈতিক দলকে চূড়ান্ত কপি সরবরাহ করা হয়।

আজকের অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলো এই ঐতিহাসিক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এ আয়োজনকে ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।

সকালে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ চলাকালে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও ‘জুলাই যোদ্ধা’দের বীর হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ তাদের স্বীকৃতি জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাস দিলেও তারা অবস্থান চালিয়ে যান।

পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সরিয়ে দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যেই অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন করা হয়েছে, যাতে জুলাই যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দেশের ইতিহাসে এই জুলাই জাতীয় সনদকে অনেকেই একটি ঐক্য ও সংস্কারের প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সনদ বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তনের নতুন অধ্যায় শুরু হবে।

প্রধান উপদেষ্টার যোগদান,স্বাক্ষর অনুষ্ঠান,জুলাই জাতীয় সনদ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত