অনলাইন সংস্করণ
১৭:২৬, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা শুক্রবার বিকেলে বহুল আলোচিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’–এ স্বাক্ষর করেছেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় বিকাল পাঁচটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সনদে স্বাক্ষর করেন তারা। এর আগে বিকাল চারটা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিনিধিরা ও অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভার উপদেষ্টারা।
বিকাল সাড়ে চারটার দিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান। তার সঙ্গে ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
মঞ্চে একসঙ্গে বসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন প্রমুখ নেতাকে মঞ্চে দেখা গেছে।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা সনদের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জুলাই জাতীয় সনদ মূলত দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংবিধানসম্মত নির্বাচন, সুশাসন, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও মানবাধিকার নিশ্চয়তার অঙ্গীকারনামা হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। সনদে সইয়ের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক কাঠামো আরও দৃঢ় হলো বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত।
তবে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকলেও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শেষ মুহূর্তে সনদে সই না করার ঘোষণা দেয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলটি জানায়, “আইনি ভিত্তি ও সাংবিধানিক নিশ্চয়তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না।”
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জুলাই সনদ কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, এটি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি একটি অঙ্গীকার— ন্যায়, গণতন্ত্র ও অংশগ্রহণের পথে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি।’