অনলাইন সংস্করণ
১৭:০৫, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫
গণভোট যখনই হোক, তার জন্য প্রস্তুতি নিতে সরকারের দুই মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতি নিয়ে সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং অধিদপ্তর ও কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানানো হয়।
কমিশন বলছে, গণভোট কখন হবে, সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে হবে নাকি পৃথকভাবে হবে তা নির্ধারণ করবে সরকার। তবে গণভোট করতে হলে তার জন্য প্রস্তুতি রাখতে হবে।
কমিশন জানায়, গণভোটের জন্য বাড়তি অর্থ প্রয়োজন হবে, এজন্য টাকা ছাড় করতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গণভোটের জন্য অতিরিক্ত ভোটকক্ষের প্রয়োজন হবে, এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইসি বলছে, একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হলে ভোটকেন্দ্র এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে হবে। আর পৃথক দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজন করলে দুই নির্বাচনের যে ব্যয় সে অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সভায় অন্যদের মধ্যে আরও ছিলেন- শিক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগসহ ৩১টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের প্রধানেরা।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, গণভোট নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। আমাদের কাজ হচ্ছে সুষ্ঠুভাবে তা সম্পন্ন করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে নাকি পৃথক দিনে হবে তা নির্ধারণ করবে সরকার। যখনই গণভোট হোক না কেন, এ নির্বাচনের সঙ্গে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট তাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে হবে।
সচিবদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনাদের মাথায় নির্বাচনের বিষয়টি রাখবেন। সরকারি সফরে কোথাও গেলে সম্ভব হলে সেখানকার নির্বাচনি প্রস্তুতি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেবেন।