অনলাইন সংস্করণ
১৯:২১, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অধ্যাপক আলী রীয়াজকে তাঁর বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
এই পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি উপদেষ্টার পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
এছাড়া ছয়টি পৃথক সংস্কার কমিশনের প্রধানরা কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। কমিশনগুলো সুপারিশ পর্যালোচনা, প্রয়োজনীয় সংশোধন প্রস্তাব এবং অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে তা বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরির কাজ করে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর শেষ হয়। এই বিষয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, সনদ সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুদক এবং পুলিশ সংস্কারে ছয়টি পৃথক কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনগুলো প্রতিবেদন জমা দেয়, এবং তার ভিত্তিতে ১২ ফেব্রুয়ারি গঠন করা হয় ছয় মাস মেয়াদী ঐকমত্য কমিশন। ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
ঐকমত্য কমিশন ছয় সংস্কার কমিশনের ১৬৬ সুপারিশ নিয়ে প্রথম দফার সংলাপ শুরু করে, যেখানে ৪৪টি বৈঠকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ৬২ সংস্কারে ঐকমত্য ঘোষণা করে সরকার। দ্বিতীয় দফার সংলাপে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২২ মৌলিক সংস্কারে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ঐকমত্য হয়। মোট ৮৪ সংস্কারের প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়।
আগস্টে কমিশনের মেয়াদ এক মাস বৃদ্ধি করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে সংলাপ হয়। ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপি, জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ওই দিন অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের অনেক স্রোত, কিন্তু মোহনা একটি। সেটি হলো গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করা। সেই স্বপ্ন, প্রত্যাশার স্মারক যতটুকু অর্জিত হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ তার প্রথম পদক্ষেপ।’
অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, এই অগ্রসরমানতায় বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। প্রত্যাশা থাকবে রাজনৈতিক দলগুলো মত ও পথের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।